শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬

হাইকোর্টের রায়ে হত্যায় সরাসরি জড়িতরাও পার পেয়েছে : জাহিদ আহসান রাসেল ( এম পি )


গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ছয়জনের ফাঁসির রায় বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেছেন হইকোর্ট। কিন্তু এই হত্যা মামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িতরাও পার পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
বুধবার রায় ঘোষণার পর হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সমানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ অভিযোগ করেন তিনি। এসময় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ মামলায় ২০০৫ সালে নিম্ন আদালতে দণ্ডাদেশ পাওয়া বাকি ২২ আসামির মধ্যে আটজনকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিন্ম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের করা আপিল আবেদনের উপর শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে  ‘পুরোপুরি সন্তুষ্ট’ নয় উল্লেখ করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, মামলায় এমন অনেক আসামি রয়েছে যারা সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে তারা অনেকে পার পেয়েছেন। তাই আমরা পুরো পুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি।
বাবার আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য রাসেল বলেন, “হাইকোর্টের এ রায়ে আমরা আংশিক সন্তুষ্ট; পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, অন্যদের সাজা কমানো হয়েছে এবং কয়েকজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু যাবজ্জীবন ও খালাসপ্রাপ্তরা এ হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। এ জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি আপিলে খালাস প্রাপ্তদের যথাযথ শাস্তি দেয়া যাবে।
এসময় বাদীপক্ষের আইনজীবী সাজোয়ার হোসেন বলেন, আপিল করার বিষয়ে বাদীপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে লড়ব আমরা।
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন