শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬

স্ত্রী হত্যার ছক নিজেই কেটেছিলেন এসপি বাবুল আক্তার!


স্ত্রী মিতু হত্যা পরিকল্পনার ছক নিজেই কেটেছিলেন এসপি বাবুল আক্তার। পুলিশের হাতে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে একথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র গাজীপুর ট্রিবিউন কে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর মধ্য দিয়ে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু আক্তার হত্যা মামলার তদন্ত নতুন চাঞ্চল্যকর মোড় নিলো।
সূত্র জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজে পরিকল্পনা করে স্ত্রীকে হত্যা করিয়েছেন বাবুল আক্তার। চট্টগ্রামের দামপাড়ার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক ছিলো, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল জানিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করে সূত্র।
কঠোর গোপনীয়তায় বাবুল আক্তারের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে, শুক্রবার (২৪ জুন) গভীর রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় পুলিশ। খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম এসপি বাবুল আক্তারকে নিয়ে যান বলে প্রাথমিক সূত্র জানায়।
পরে রাত আড়াইটার দিকে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন গাজীপুর ট্রিবিউন কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিস্তারিত আসছে…

শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬

হাইকোর্টের রায়ে হত্যায় সরাসরি জড়িতরাও পার পেয়েছে : জাহিদ আহসান রাসেল ( এম পি )


গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ছয়জনের ফাঁসির রায় বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেছেন হইকোর্ট। কিন্তু এই হত্যা মামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িতরাও পার পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
বুধবার রায় ঘোষণার পর হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সমানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ অভিযোগ করেন তিনি। এসময় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ মামলায় ২০০৫ সালে নিম্ন আদালতে দণ্ডাদেশ পাওয়া বাকি ২২ আসামির মধ্যে আটজনকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিন্ম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের করা আপিল আবেদনের উপর শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে  ‘পুরোপুরি সন্তুষ্ট’ নয় উল্লেখ করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, মামলায় এমন অনেক আসামি রয়েছে যারা সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে তারা অনেকে পার পেয়েছেন। তাই আমরা পুরো পুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি।
বাবার আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য রাসেল বলেন, “হাইকোর্টের এ রায়ে আমরা আংশিক সন্তুষ্ট; পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, অন্যদের সাজা কমানো হয়েছে এবং কয়েকজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু যাবজ্জীবন ও খালাসপ্রাপ্তরা এ হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। এ জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি আপিলে খালাস প্রাপ্তদের যথাযথ শাস্তি দেয়া যাবে।
এসময় বাদীপক্ষের আইনজীবী সাজোয়ার হোসেন বলেন, আপিল করার বিষয়ে বাদীপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে লড়ব আমরা।
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন।